mitra, debArati (দেবারতি মিত্র);
debArati mitrer shreShTha kabitA দেবারতি মিত্রর শ্রেষ্ঠ কবিতা
De's Publishing, Kolkata, 2000
ISBN 8176125997
topics: | poetry | bengali | gender | women
The first poem excerpted below was written when debArati was an young single woman, appears to describe a sexual act (blowjob), and was the subject of much discussion in the staid bengali circles of the early 70s. Nabaneeta Dev Sen, writing in Faces of the feminine (OUP, 2000, p.300) says of this episode: A young, unmmarried girl, Debarati Mitra, wrote a rather beautiful erotic poem about oral sex in a little magazine. Her life was made unbearable by comments and rumors. If she had written the same poem in English, nothing would have happened. I doubt however if the last statement is true. There may be some effect, but it depends on what fraction of the social circle of the poet is reading English poetry - that readership is so small across most of India that English in general has a smaller impact. On the other hand, Bengali poetry has a wide audience. A translation of this poem appears in my Unsevered Tongue
প্রিয়তম পুরুষটি এক পা একটুখানি উঁচু করে বিছানায় ভেসে আছে দেবদূত সুকুমার ডৌলভরা মাংসল ব্রঞ্জের উরু অবিশ্বাস্য নিখুঁত সহজ গ্রীক ভাস্করতা হঠাত্ সচল হয়ে ডাকে তরুণীকে। দু’হাতে জড়ানো নারী তার ঊর্ধ্বশরীরের সৌকর্ষ ফেলে রেখে গা শিরশিরে লোভে দু পায়ের ফাঁকে এসে মুখ গুঁজে দেয় গ্রীষ্মের ঠিক আগে মাইল মাইল ব্যাপী সরলবর্গীয় বনে ঝড় একটানা আতশবাজির তীব্র রঙচঙে চক্কর স্তনান্তরে ঢেউ লাগে, অসম্ভব অনুরক্তা শিশুসুলভতা নিয়ে অচেনা আশ্চর্য এক লালচে কিসমিসরাঙা ফুলের কোরক মুখে টপ করে পোরে, মাতৃদুধের মতো স্বাদু রস টানে। ক্রমে তার মুখে আসে ঈষদচ্ছ আনতিশীতোষ্ণ গলা মোম টুপটাপ মুখের গহ্বরে ঝরে পড়ে পেলিকান পাখিদের সদ্যোজাত ডিম ভেঙে জমাট কুসুম নয়, একটু আঁষটে নোনতা স্বচ্ছ সাদা জেলি। ভরে যায় আত্মা অবধি পর্ণপুট অপার্থিব মৌচাকের টলটলে মধু, মিষ্টি ঘামে। অস্থির রমণী গাঢ় ঊষ্ণ আরামে পালতোলা জাহাজের ডেকে শুয়ে মাধ্যাকর্ষহীন ফুরফরে মোলায়েম হালকা জ্বলন্তপ্রায় একরাশ বেলুনের ঝাঁক নিয়ে বিদেশী তারার খুব কাছাকাছি ভেসে যেতে থাকে যেন ডানা মেলে দেবদূত উড়ে যাবে এক্ষুনি বিছানাসুদ্ধ তাকে নিয়ে। মেয়েটির উচ্ছ্বল তৃপ্ত ওষ্ঠাধর, দাঁত, দু চোখের পাতা চটচটে ঘন লাক্ষারস মাখামাখি, সজীব রঙিন শান্ত সুস্থ জানুসন্ধির মধ্যিখানে আস্তে আস্তে তার মুখমন্ডল অঘোরে ঘুমিয়ে পড়ে পৃথিবীর সৌন্দর্য একাকী।
আলুকঝালুক পাতা ঘাসকুটো লেগে আছে ছেলেটির শার্টে বাঁধের ওধার থেকে যখন আমরা ভয়ে ভয়ে উঠে আসি ভরসন্ধেবেলা শীতের কুয়াশা লেগে জঙ্গলের ভূতপেত্নী। এতক্ষণ সে আমায় পাগল করতে বসেছিল -- ‘তারা দাও, অন্তত একটি তারা রুমালের কোণে বেঁধে রাখি।’ বনানী কী বসন্তের আদিম দিনের কালো চাপ বেঁধে আমাকে নাড়ায়, বলে, ‘তারা দাও, তারাটি ঝরিয়ে দাও দাও দাও দাও।’ টুপ করে কেঁদে ফেলি, কিছ্ই বলি না। কোথায় আমার তারা? আমি তো ভিতরশূন্য ব্ল্যাক হোল -- বিকিরণ, অন্ধ তাপ, রশ্মির আওতা থেকে চিরদূরে, ব্যর্থতার চেয়ে মিথ্যে পথে মরেও চলেছি ছুটে একা একা ছুটে। এত কাছে এসে তবু সে কিছু বোঝে নি?
আমি বিকেলবেলা পাটি পেতে সেলাই করতে বসলে আমার বালক ছেলে চূড়ামণি ছুঁচে সুতো পরিয়ে দেয়. বলে কালো আকাশে তোতা পাখির মতো একঝাঁক তারা আঁকো সারা সন্ধে ওরা আমাকে গল্প বলবে । আর রাবেয়া মাসির কবরে ধপধপে লাউফুল ঐ আধখানা চাঁদ নকশা করো, ওখানে বড় অন্ধকার । ও মা শোনো, আমার বন্ধু মিলুর গায়ে একটু সমুদ্রপারের হাওয়া ঢেউ খেলিয়ে দাও না -- তোমার তো কত রঙের কত রকমের সুতো । যত রাত বাড়ে চুড়োর আবদারও তত বাড়ে বলে তুমি ইচ্ছে করলেই সব পারো, একদিন বললে এই সময়টাকে তুমি একটা চার মাত্রার মাঠের মতো ফুটিয়ে তোলো -- সেখানে আমি মন নিয়ে বল খেলব । দূরে পরেশনাথ পাহাড়ের ঝিকঝিকে নীল চূড়া যেন আমার ছেলে ।
ভোর পৌনে পাঁচটায় ট্রেন যেন ডোডোর কঙ্কাল, সকাল নটায় পাখি, ঘন ধানক্ষেত। সাড়ে এগারোটা বাজলে নরম বালির গর্তে জমা বৃষ্টিজল। বিকেল পৌনে তিনটে -- সারা দিন সঙ্গহীন তিন চারটে মথ। সন্ধে ছটা তেতাল্লিশে রোস্টেড মুরগির উষ্ণ সুগন্ধ ও স্বাদ, নটা চৌত্রিশে প্রায় নিষ্ঠুরতা: প্রীতিময় মৌমাছি কামড়। রাত একটা পঞ্চান্নয় কালীর গর্ভের মতো অন্ধকার, একা।
সায়াহ্নের হিমালয় ডানদিকে রেখে আমি একা একা হেঁটে যাই দূরাচ্ছন্ন কুয়াশায় ঢালু হয়ে নিচে নেমে গেছে বুনো পাইনের বন একটা পাথর থেকে আরেক পাথরে নীরবে পিছলে পড়ে সবুজ মাখম কতদিন ছরে জমা শ্যাওলার ঠিকরানো আলো জমকালো রাজছত্র কিংবা কত রংবেরঙের উলটোনো পাখির মতো গাছে ঝুলে আছে মস । টুং জায়গাটা অবশ অস্বাভাবিক সমধ্বনি করে আমার গভীরে টুং টুং এই নাম মিষ্টি করে দেয় রক্ত হঠাত্ চলকে কেঁপে ওঠে মস্তিস্কের সাড় ভেঙে ব্ইরে ছড়িয়ে পড়ে বিরাট পৃথিবী । চলতে চলতে রোদ পড়ে আসে -- ঢেকে যায় সব অন্ধকারে কালো গুহা আচমকো ফসফরাস ঝরনা টেনে আনে পাথরের বুক থেকে বহু নিচে পড়ে ভারী জল মোহহারা অবিরল ঘুম বুকচাপা পাহাড়ের দুর্বোধ আতুর স্বপ্নাবলী কি যেন কি যেন কি অথচ ... রাত্রিবেলা হিমালয় কাঁদে কেন কেউই জানে না । বৃত্তের মুখের কাছে পৌঁছবার আগে দৃশ্য ভেঙে যায় গ্রীক নাটকের স্তব্ধ নেমেসিস কাঁপায় আমাকে ।
স্মৃতি বলে কিছু নেই সবুজ সবুজ তুমি ক্রমেই সবুজ হয়ে যাও আমার বুকের মধ্যে সারা রাত্রি চোখের শিশিরে । অমাবস্যার দিনে প্রবল কটাল আরো ঘোলা জল বাড়ে ভালবাসা বাড়ে আমাকে ডুবিয়ে দিয়ে গভীর পাতালে শুরু হয় আবার নতুন খেলা সারাবেলা ধরে ভরে ওঠো চোরাকুঠুরির ভাঙা খিলানের কাছে কলকল স্মৃতি বলে কিছু নেই, বাড়ে শুধু জোয়ারের জল । other poems: taruNI pUrbabAMlAr kabitAr prati 23 piyAno Ar kishor 24; ekjan samabayasI taruNer prati 27 ; andha skule ghanTA bAje 35 priya rAjachhatradhArI 39;
to contribute some excerpts from your favourite book to
book
excerptise. send us a plain text file with
page-numbered extracts from your favourite book. You can preface your
extracts with a short review.
email to (bookexcerptise [at] gmail [dot] com).