book excerptise:   a book unexamined is wasting trees

chhokrA chhokrA shyAm rAy-bAi

sutapA sengupta

sengupta, sutapA (সুতপা সেনগুপ্ত);

chhokrA chhokrA shyAm rAy-bAi ছোকরা ছোকরা শ্যাম রায়-বাই

Ananda publishers, kolkata, 2003

ISBN 9788177563627

topics: |  poetry | bengali | romance | gender


sutapA sengupta is not a very well known name - but she deserves to be. this is definitely one of the big love poems in modern Bengali. The breathlessness of the narrative carries you away, a mix of desperation as in mandAkrAntA, with a minimalist storytelling style. I discovered this book while researching women poets for my volume of translations in 2005, and while some of my enthusiasm may stem from the fact that it was my "private" discovery, I will let the excerpts below speak for themselves.

Diary of an Infatuation

This is an extended poem in a single narrative, written from the point of view of a middle-aged woman, a mother (age 42), enmeshed in an affair with a younger married man (32 p.41), Shyam Ray. He has a "goody-goody" image (15) - possibly coming from an affluent part of calcutta society - doing the club circuit - billiards, wears suits with cufflinks and cologne.

She is a professor, a socialist academic (p. 36) though she seems to be teaching in school also (34). She wonders what society would feel (the Car pool, the gateman, the school-bell, her son's school) about her intense cravings (p.18). In the throes of a routine marriage ("starved body", p. 33 below), she feels dead (though her husband is handsome, has a baritone voice). Now she feels exhilarated, completely alive, like a "kai" fish, a kind of perch that can be found alive days after it is caught, even in the cooking pan (11). He is entering her dreams now (16); yes, he has been trying to seduce her (the bAnglA word "paTAno" has some more subtle connotations) - "it won't be nice, i am warning you, if you stop now" (p.17). It turns out that they attended the same school. Maybe he was one of the doll-like boys in Montessori whom she used to squeeze (45).

The trajectory of a togetherness

The book is organized in a series of fifty-six short untitled vignettes,
outlining her fevered infatuation for "shyam ray", unfolding into an
intensely physical experience.  Several times they meet on trains, he is
chivalrous and sits next to her (14), and then again on a
four hour train journey - (it passes like a moment p.26), and possibly
another where they have a few moments on a bunk . Their affair
seems to have some links to a "lodge" somewhere in Birbhum, which would be
about the right distance from Calcutta.

The affair releases long pent-up desire in her (p.9, below) - but soon she
is assailed by doubt - will he come again, should she need to go to his
house (p.13, below)?  Is this all a fantasy, or is there real interest?  She
wouldn't want it, would she (p.31, below)? Suddenly they seem to be meeting
a lot, everywhere (p.38), and then he touches her ineptly (38), and then
one day in the train - "come here," and a quick kiss on the shoulder (p.39).
Soon it culminates into a full affair, rapid kisses in an empty restaurant
(40), buttons fall open...

The poem grabs you with its language, the slang mix of urdu (don't tell me
meri jAn, I am so dillagi, dil-o-jAnam), the uncertainty and mounting
desperation, the exuberance of initial contact, the thrill of illegitimacy,
the ineffable moment of fulfillment, the complete infatuation (even his
discarded clothes overwhelm her, 34), and then a lingering death.  One of my
best books of Bengali poetry.

Excerpts


আবার বুকের মধ্যে আমের বোলের মতো ব্যথা p.9

আবার বুকের মধ্যে আমের বোলের মতো ব্যথা
কত বছরের পর, শ্যাম রায়, তোমার জন্যেই এল
এদিক ওদিক বহু কথা হল পাশাপাশি শুয়ে খোলা রোদে
অন্ধকারে উল্টোপাল্টে ফিসফিসিয়ে পাথুরে খাদানে

তোমাকে বুকের মধ্যে নেবে বলে টানটান আকাশ
মেলে দিয়েছে চড়া তাপে বীরভূমের লালপাহাড়ি দেশ
তোমার গালের নীল আভা থেকে লেগেছে শিহর
টক-ঝাল তারুণ্য মেখে ফেঁসে গেছে বেশিবয়েসি মেয়ে

শ্যাম রায়কে দেখা হবে আর? ১৩

শ্যাম রায়কে দেখা হবে আর?
শ্যাম রায় কোন আবাসনে থাকে জানি, ওখানে যাবার
বাধা নেই, ট্রাফিক সিগনাল
থাকবে না সিওর, তবু মোটেই যাব না মেরি জান

তোমার ঘরেই থাকব
কোনোদিন সন্ধেয়
টুকাটাকি কিনে আনব, কোলন, টাইপিন
ওসবের কিছু আমি শ্যাম রায়কে দেব না

খুব চাইলে দিতে পারি সব্‌জে কালো সাপ
     চওড়া কব্জিতে জড়িয়ে শ্যাম রায়
ব্যাডমিন্টন খেললে তোবা তোবা মরে যাব
                    মরব, মেরি জান

আবার শ্যাম রায়? যাও, যথেষ্ট হয়েছে, বাড়ি যাও ৩১

আবার শ্যাম রায়?  যাও, যথেষ্ট হয়েছে, বাড়ি যাও
বউকে নিয়ে লং ড্রাইভ, পার্টি শার্টি, বিলিয়ার্ড, হেলথ ক্লাব
                          যেখানে যা খুশি
যাচ্ছেতাই করো, প্লিজ - হাতজোড় - আর কাছে এসো না

এসো না বললেই স্রেফ চলে যাবে?  মাইরি আচ্ছা ছেলে

টিপিকাল মেয়ে নই বলে কখনো কি মুখে না না
       মনে মনে হ্যাঁ বলতে পারি না?

সিগারেট খাচ্ছি, তুমি হাত রেখেছ পিঠের দেয়ালে ৩৩

সিগারেট খাচ্ছি, তুমি হাত রেখেছ পিঠের দেয়ালে
ট্রেনের দুলুনি লেগে একটু-একটু ছুঁয়ে যাচ্ছে পিঠ
অসম্ভব শান্তি লাগছে

             ক-বছর উপোসি শরীর
গরিবের খাওয়ার মতো অল্প অল্প করে মেখে নিয়ে
অনেকটা সময় ধরে পেতে চাইছে হাতের আস্বাদ

একটা সিগারেট শেষ, আবার ধরাচ্ছি, আবার...

ফাঁকা করিডোর জুড়ে না-বোঝার ভান করছে
খয়েরি পিঠ আর ফর্সা হাত

জামা বদলাবো না আমি, যে জ্যাকেট নিয়ে পরেছিলে ৩৪

জামা বদলাবো না আমি, যে জ্যাকেট নিয়ে পরেছিলে
জড়িয়ে-পাকিয়ে তাকে শুয়ে থাকব অবেলার খাটে
রোদ এসে কান্‌কি মারবে, বলবে, ওঠো ইস্কুল যাবে না?
ক্লাসরুম পড়ে আছে বোকা মাস্টারনির অপেক্ষায়

উঠে পড়ে স্নান করব, স্নান করতে করতে ভাবব, আজ
আরেকবার দেখা হতে পার না কি স্টেশনে আবার
কফিকাপ চলকে যাবে, নেমে এসে গড়াবে কাপড়ে
তবু বদলাব না আমি যে জামা ছুঁয়েছে শ্যাম রায়

তোমার চোখের পাশে, শ্যাম রায়, একটা তিল আছে ৩৫

তোমার চোখের পাশে, শ্যাম রায়, একটা তিল আছে

যখনই তোমাকে ভাবি, ওই তিল দৌড়ে চলে আসে

চোখে মুখে কথা বলে,
       আমাকে বলতেই দেয় না কিছু

দু-ঠোঁট বুজিয়ে দেয়, ভিজে ভিজে, শুষে

খোলস পরানো, মুখে শক্ত রেখা ৩৬


	খোলস পরানো, মুখে শক্ত রেখা
	বেশ তো ছিলাম
	একা একা
	সামাজিক শ্রীমতি সেনগুপ্ত, অধ্যাপিকা

	নখে দাঁতে ঘামে জাপ্টে
	           ছিঁড়ে ফেললে বালিশের তুলো

	এভাবে ফুসলিয়ে তুমি ঠিক করোনি, জাঁবাজ প্রেমিক

এভাবে তোমার সঙ্গে দেখা, আর ফিদে হওয়া ৩৭

এভাবে তোমার সঙ্গে দেখা, আর ফিদা হওয়া
চুড়ান্ত ফ্যান্‌টাসি

বুক-ওঠার সময়ে যে স্বপ্নের বাসস্টপে
প্রত্যেকটা মেয়ের জন্যে রাজপুত্র বাইক নিয়ে আসে

আমারও এসেছে,
কিন্তু তারপর এতগুলো বছর যেভাবে

খুচরো, ভাঙা, তেতো, ফালতু
ভুলে যাব
    রাজপুত্র
        এসো, আজ সব পুষিয়ে দাও

যেন আমি বালিকার তস্য বালিকা ৩৮

যেন আমি বালিকার তস্য বালিকা
কী যে শিউরে ওঠা ছিল গায়ে হাত লাগায়

তোমার আনাড়িপনা বিষম ছোঁয়াচে,
...

ভেবেছ কি ছেড়ে দেব, শোধ নেব না চান্স মাত্র পেলে? ৩৯

ভেবেছ কি ছেড়ে দেব, শোধ নেব না চান্স মাত্র পেলে?
যে মুহূর্তে ঢুকবে এসে আমার ঘরের দরজা ঠেলে --

আমি তো ভদ্রই থাকি, ট্রেনে বেশ আলগা-আলগা বসি
কাঁধে কাঁধ ছড়ে যাওয়া সে ছিল তো প্রথম-প্রথম

কিন্তু সেদিন যে তুমি 'একটু শুনুন' বলে টুক করে ঘাড়ে অল্প চুমু

কী ইচ্ছে করলো কি জানো কী কী সব ইচ্ছে সব
        কামরাভর্তি লোকের সামনেই

----40
	...
এ জান ছুঁকছুঁক তবু,
      আত্মগরিমার মাথা খেয়ে
থামাতে পারছে না এই ঘন ঘন দেখা হয়ে যাওয়া

তোমারও তো একই দশা, হচ্ছে কি হচ্ছে না জলদি বলো
নম্বর লাগাও আর ভিতু স্বরে
           'হ্যালো মিসেস এস--'

তারপর ভবানীপুর, ফাঁকা চিনে রেস্তোঁরায় মোমো
সুপের বাটিকে মধ্যে রেখে দ্রুত ঘনঘোর চুমু

---- ৪১

এ ভাবে লুকিয়ে দেখা, এরকম চুরিয়ে প্রেম
এ-বয়সে কি ভাল, না খারাপ?
...

তবু, কেন অকারণ এ-বুক দুটো তুখোড় হয়
অসভ্য বদমাইশ ছেলে
          শ্যাম রায়, তোমার থাবায়

বৌদিবাজি করছ নাকি? ৪৩

বৌদিবাজি করছ নাকি? লোকে বলছে তাই?
আমি মাত্র ক-টা দিন বনলতা সেন

মুখোমুখি বসে আমরা খুলে ফেলছি কাপড়?
তারপর কীভাবে যেন পিকাসো-পেন্টিং

এটা-ওটা-সেটা বলছে?
                 অমুক তমুক?
ওদের  জানিয়ে দাও আমি তোমার বন্ধু মিসেস এস

বুড়ি শালিকের ঘাড়ে চেগে গেছে রোঁ 46


বুড়ি শালিকের ঘাড়ে চেগে গেছে রোঁ
ভরা দেহ চাপ দিচ্ছ, হাত দুটো পাগল
শীত করছে, গায়ে কাঁটা, সইতে পারছি না --
মরে যাব, ঠোঁট ওঠাও শ্যাম, ঠোঁট ওঠাও

your mad hands, pressing down on her,
the old myna feathers wake up slow
i am shivering, cold, can't take it, dying
i'll die, remove your lips, shyam, your lips...

তোমার সকালবেলা উন্মাদ দাঁড়ানো এসে ৪৭

তোমার সকালবেলা উন্মাদ দাঁড়ানো এসে
তোমার মুখের মুগ্ধ শ্বাস
বিকেলে ভোরের ফুল উপহার দেওয়া দেখে
খুলে যাচ্ছে জামার বোতাম

তোমার অস্থির চুমু, ছটফটে হাতের আঁচ
ভারী ও নিটোল দুটো থাম
সব নিংরে নেব আমি, হাতে ধরে পায়ে ঠেলে
কামকলা শেখাব, কাঁচা শ্যাম

----৫৮
বালিশের ওয়াড়, চাদর
বদলে দিচ্ছে লজের লোক

কবে আসবে, বলো?

শ্যাম রায়, মরে যাব
তোমার শরীরের গন্ধ না পেলে একবারও

----৫৯
সেদিনের মতো ট্রেন সাঁইথিয়া স্টেশনে বেধে গেছে
পাশে তুমি নেই আমাকে জ্বালাতে
কদ্দিন যে একা আছি
এ শহর মুহ্যমান, পাত্তাই দিচ্ছে না
আদরও দিচ্ছে না
                 শুধু মনে পড়িয়ে দিয়ে
চাইছে, আমি স্মার্ট বলে মোটেই কাঁদছি না

এখনও আশা ছিড়নি আমি, বুঝলে শ্যাম রায় ৬০

এখনও আশা ছাড়িনি আমি, বুঝলে শ্যাম রায়
এখনও তুমি আসতে পারো ভেবে
এমন সাজসরঞ্জাম,
       চেয়ার পেতে বসা
       বারান্দার একলা চোরা থাম

চোখ নামিয়ে অপেক্ষার গানের পর গানে
রফি কিশোর মান্না দে মরণমুখী টান

রাতের টোকা পাবার আশায়

ফর্সা জামা পরা

সাবান মেখে অনেকক্ষণ চান

ফোনে তুমি জানালে, যে-কোনোদিন এসে পড়তে পারো ৬২

ফোনে তুমি জানালে, যে-কোনোদিন এসে পড়তে পারো

ফোনে তো জানাওনি তবু আমি জেনে গেছি অব্‌ভিয়াস
কোনোদিন আর তুমি আসবে না

                       কী ওস্তাদের মার

জো-ও-র কা ঝট্‌কা -- আহা, ধীরে সে লাগালে শ্যাম রায়


amitabha mukerjee (mukerjee [at-symbol] gmail) 2013 Apr 08