Das, shyamalkAnti [dAsh] (শ্যামলকান্তি দাশ ); pItam bhaTTAchArya (eds.) (পীতম ভট্টাচার্য);
dui bAnglAr Abrittir serA kabitA দুই বাংলার আবৃত্তির সেরা কবিতা
nirmal pustakAlay, kolkata 2003, 408 pages
topics: | poetry | bengali | anthology
nolak (nosegay), Al Mahmud আমার মায়ের সোনার নোলক হারিয়ে গেল শেষে হেথায় খুঁজি হোথায় খুঁজি সারা বাংলাদেশে। নদীর কাছে গিয়েছিলাম, আছে তোমার কাছে ? -হাত দিওনা আমার শরীর ভরা বোয়াল মাছে। বললো কেঁদে তিতাস নদী হরিণবেড়ের বাঁকে শাদা পালক বকরা যেথায় পাখ ছড়িয়ে থাকে। জল ছাড়িয়ে দল হারিয়ে গেলাম বনের দিক সবুজ বনের হরিৎ টিয়ে করে রে ঝিকমিক। বনের কাছে এই মিনতি, ফিরিয়ে দেবে ভাই, আমার মায়ের গয়না নিয়ে ঘরকে যেতে চাই। কোথায় পাবো তোমার মায়ের হারিয়ে যাওয়া ধন আমরা তো সব পাখপাখালি বনের সাধারণ। সবুজ চুলে ফুল পিন্দেছি নোলক পরি নাতো ! ফুলের গন্ধ চাও যদি নাও, হাত পাতো হাত পাতো বলে পাহাড় দেখায় তাহার আহার ভরা বুক হাজার হরিণ পাতার ফাঁকে বাঁকিয়ে রাখে মুখ। এলিয়ে খোঁপা রাত্রি এলেন, ফের বাড়ালাম পা আমার মায়ের গয়না ছাড়া ঘরকে যাবো না।
pAkhir mata (like a bird), Al Mahmud আম্মা বলেন, পড়রে সোনা আব্বা বলেন, মন দে; পাঠে আমার মন বসে না কাঁঠালচাঁপার গন্ধে। আমার কেবল ইচ্ছে জাগে নদীর কাছে থাকতে, বকুল ডালে লুকিয়ে থেকে পাখির মতো ডাকতে। সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে কর্ণফুলীর কূলটায়, দুধভরা ঐ চাঁদের বাটি ফেরেস্তারা উল্টায়। তখন কেবল ভাবতে থাকি কেমন করে উড়বো, কেমন করে শহর ছেড়ে সবুজ গাঁয়ে ঘুরবো ! তোমরা যখন শিখছো পড়া মানুষ হওয়ার জন্য, আমি না হয় পাখিই হবো, পাখির মতো বন্য।
AmAke kI mAlya debe, dAo (go ahead and crown me), Nirmalendu Goon তোমার পায়ের নিচে আমিও অমর হব, আমাকে কী মাল্য দেবে দাও। এই নাও আমার যৌতুক, এক বুক রক্তের প্রতিজ্ঞা। ধুয়েছি অস্থির আত্মা শ্রাবণের জলে, আমিও প্লাবন হব, শুধু চন্দনচর্চিত হাত একবার বোলাও কপালে। আমি জলে স্থলে অন্তরীক্ষে উড়াব গাণ্ডীব, তোমার পায়ের কাছে নামাবো পাহাড়। আমিও অমর হব, আমাকে কী মাল্য দেবে দাও। পায়ের আঙুল হয়ে সারাক্ষণ লেগে আছি পায়ে, চন্দনের ঘ্রাণ হয়ে বেঁচে আছি কাঠের ভিতরে। আমার কিসের ভয় ? কবরের পাশে থেকে হয়ে গেছি নিজেই কবর, শহীদের পাশে থেকে হয়ে গেছি নিজেই শহীদ, আমার আঙুল যেন শহীদের অজস্র মিনার হয়ে জনতার হাতে হাতে গিয়েছে ছড়িয়ে। আমার কিসের ভয় ? আমিও অমর হব, আমাকে কী মাল্য দেবে দাও এই দেখো অন্তরাত্মা মৃত্যুর গর্বে ভরপুর, ভোরের শেফালি হয়ে পড়ে আছে ঘাসে। আকন্দ ধুন্দুল নয়, রফিক সালাম বরকত আমি; আমারই আত্মার প্রতিভাসে এই দেখ আগ্নেয়াস্ত্র, কোমরে কার্তুজ, অস্থি ও মজ্জার মধ্যে আমার বিদ্রোহ, আমাকে কী মাল্য দেবে দাও। উদ্ধত কপাল জুড়ে যুদ্ধের রক্তজয়টিকা। আমার কিসের ভয় ? তোমার পায়ের নিচে আমিও কবর হব, আমাকে কী মাল্য দেবে দাও। link: http://www.rashal.com/blog/?p=1401; 20+ poems by Goon
আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলায় গান গাই,
আমি আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই
আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন, আমি বাংলায় বাঁধি সুর
আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে হেঁটেছি এতটা দূর
বাংলা আমার জীবনানন্দ বাংলা প্রাণের সুখ
আমি একবার দেখি, বারবার দেখি, দেখি বাংলার মুখ |
আমি বাংলায় কথা কই, আমি বাংলার কথা কই
আমি বাংলায় ভাসি, বাংলায় হাসি, বাংলায় জেগে রই
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় চিত্কার
বাংলা আমার দৃপ্ত স্লোগান ক্ষিপ্ত তীর ধনুক,
আমি একবার দেখি, বারবার দেখি, দেখি বাংলার মুখ |
আমি বাংলায় ভালবাসি, আমি বাংলাকে ভালবাসি
আমি তারি হাত ধরে সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে আসি
আমি যা’কিছু মহান বরণ করেছি বিনয় শ্রদ্ধায়
মেশে তেরো নদী সাত সাগরের জল গঙ্গায় পদ্মায়
বাংলা আমার তৃষ্ণার জল তৃপ্ত শেষ চুমুক
আমি একবার দেখি, বারবার দেখি, দেখি বাংলার মুখ |
আপনি আমায় চেনেন? আমি অনুজপ্রতিম দাস আসল বয়েস পাঁচ, কিন্তু ইস্কুলে সিক্স প্লাস। আমার সবে ওয়ান, তবু মিসের সংখ্যা চার -- সকাল সন্ধে দু'জন দু'জন - সপ্তাহে চারবার। পড়তে হয় পাঁচটি বিষয়, পাঁচ ঘন্টার বেশি। মা বলেছেন, সাহেব হতে; বাবার শিক্ষা দেশি। পড়াশোনা ছাড়াও আমার অজস্র কাজ হাতে। হিসেব করে দেখলে, আমার ঘুম হয় না রাতে। মায়ের ইচ্ছে, ক্রিকেট শিখে শচীন হয়ে উঠি; বাবার সাধ পূরণ করতে দাবায় কাটে ছুটি। কাকার ভীষণ ইচ্ছে, আমি রবীন্দ্রনাথ হই, -- তাঁর প্রতিজ্ঞা -- 'ভাইপোটাকে লিখতে শেখাবোই'। মায়ের সঙ্গে ফি-রবিবার ড্রইং শিখতে যাই। এসব সাধে বাদ সাধলে বেজায় সাজা পাই। সব কিছুতেই প্রথম হই -- সবাই কিন্তু চান। শেখার ওজন বেড়ে আমার প্রাণ করে আনচান। শেখার চাপে হাঁপায় ছুটি, কোনখানে বিশ্রাম? বিশাল প্রতিযোগিতা এর হচ্ছে পরিণাম। আমার মতো অনেক আরও অনুজপ্রতিম দাস নিজের জন্য পায় না কেন একটু অবকাশ।