book excerptise:   a book unexamined is wasting trees

sukAnta bhaTTachArya and subhASh mukhopAdhyAy

sukAnta samagra সুকান্ত সমগ্র

bhaTTachArya, sukAnta (সুকান্ত ভট্টাচার্য); subhASh mukhopAdhyAy (সুভাষ মুখোপাধ্যায়) (ed.);

sukAnta samagra সুকান্ত সমগ্র (sukānta-samagra, "The Collected Sukanta")

sArasvat lAibrerI সারস্বত লাইব্রেরী (Sārasvata Lāibrerī, Saraswat Library), 1967/1986 18th edn.

ISBN 8186032002

topics: |  poetry | bengali

the sukAnta phenomenon


As a young boy growing up in suburban Bengal in the 70s, one could still feel
the tragedy of Sukanta's death from tuberculosis at age 21, three months
before India's independence. His poems - ekTi morager kAhinI (a chicken
story), sniRi (staircase), and of course, chhARpatra (entitlement), were
on everyone's lips; maybe I can still recite many of these.  Meanwhile, Salil
Chowdhury and Hemanta had immortalized rAnAr - a melodramatic tale of the
postal runners who carried mail across rural India in British times.  That
some of the other Salil songs on the loudspeakers, like abAk prithibI
(anubhab p.38) and ThikAnA were by sukAnta I did not realize until much
later.

In the flourishing atmosphere of Abritti (poetry recitation) contests, at
least one Sukanta poem was de rigeur for any self-respecting Abritti
organizer.  I remember vividly walking the roof of our house in Shyamnagar,
with the Ganga at twilight, memorizing the fiery poem, Agneyagiri (volcano)
for an Abritti contest around 1972.
 
 handwriting: page from sukanta's poetry notebook

Famine, compassion and anger

Sukanta's experience was informed by the famine of 1943, when many
traders were perceived as hoarders who were stocking up for sale at high
prices, ignoring the human cost of their action.  Their goods would be sold
in the "black market" - the illegal, un-taxed market, and the label
"blackmarketeer", indeed, even "hoarder" became a hateful word.

Many of Sukanta's poems rage against traders and warehousemen; for instance,
in the poem bhAlo khAbAr ("tasty food"), the fat businessman dhanapati pAl
(dhanapati means "lord of riches") despairs with all the food that is served
him.  In the end, his treasurer asks him about his most desired food.
Dhanapati looks around, smiles, and says,
       it's hard to admit, but in terms of taste
       the poor man's blood is really the best
       		 (see complete poem in bAngla below.)
Although there is much of this type of melodrama in Sukanta, there is a
clean-ness about his humoorous rhyme and his word choice so it does not
seem as much of a misfit.

Sukanta within the Bengal Leftist context

In the years immediately after independence, the businessmen who had
been funding Indian politicians for decades suddenly discovered a license for
excessive rapacity (see for instance, the Mundhra scandal of 1957
unearthed by  Feroze Gandhi).

At the same time, many of the families that had migrated from East Pakistan
around partition, including Sukanta's family (full disclosure: mine too)
continued to feel a sense of desolation, helplessness and loss; this was
exacerbated with the runup to the Bangladesh war.  This, together with the
memories of famines, and the continuing economic hardship, created a
groundswell of emotion in West Bengal against businessmen and landowners.
Sukanta fed into this nerve, and his legend of
young-talent-extinguished-prematurely added to the resonance in the public
psyche.  Eventually, this feeling of oppression was among the causes for
the explosion of Naxalbari that tore apart Bengal in the mid 70s, and it
was only after that bloodletting that this sense of exploitation eased.

Today, despite his nephew being the Chief Minister of West Bengal, Sukanta
mania has come down considerably.  He remains a household name, and is still
widely read, and even recited at Abritti contests, but the emotion is more
balanced now.

Assessment for posterity

Some of his angry emotionalism sounds shriller today than they used to then.
As an example, here is "cigarette", another popular Abritti poem:

we are cigarettes. why won't you          আমরা সিগারেট।
let us live? why                          তোমরা আমাদের বাঁচতে দাও না কেন?
would you burn us to cinder? ...          আমাদের কেন নিঃশেষ করো পুড়িয়ে?...
your comfort is our extinction            তোমাদের আরামঃ আমাদের মৃত্যু।
how long can this continue?               এমনি ক’রে চলবে আর কত কাল?
...                                       ...

no more.  enough.                         তাই, আর নয়;
no longer shall we                        আর আমরা বন্দী থাকব না
remain imprisoned in                      কৌটোয় আর প্যাকেটে;
rectangular cardboard boxes               আঙুলে আর পকেটে
we shall burst out                        সোনা-বাঁধানো ‘কেসে’ আমাদের নিঃশ্বাস হবে না রুদ্ধ।
at a casual moment                        আমরা বেরিয়ে পড়ব,
we shall fall burning from your fingers   সবাই একজোটে, একত্রে–
onto the sheets                           তারপর তোমাদের অসতর্ক মুহূর্তে
silently we will burn                     জ্বলন্ত আমরা ছিট্‌কে পড়ব তোমাদের হাত থেকে
flame down the house                      বিছানায় অথবা কাপড়ে;
to the last cinder                        নিঃশব্দে হঠাৎ জ্বলে উঠে
just like you, in all these years         বাড়িসুদ্ধ পুড়িয়ে মারব তোমাদের
      have burnt us down to the end       যেমন করে তোমরা আমাদের পুড়িয়ে মেরেছ এতকাল।।
		(tr. amitabha mukerjee)

A similar overexuberance informs many of the other poems. We are the sleeping
volcano, one day we will devastate your immoral frolicking; we are the
slippery staircase - like Humayun, we shall bring you to your end...

It is likely that in time, Sukanta may come to be categorized as a
generational poet, a phenomenon who lasted several decades, but may not
gather the imprint of eternity as a Tagore or a mAnik bandopAdhyAy might.

Yet, there is a surprising maturity, whatever the age of the author, in many
of the poems.  The poem priyatamAsu, a letter written by a frontier guard
to his faraway lover is a case in point (excerpted below)

Sukanta samagra


published ten years after his death at age 21, this book collects all the
published poetry and other publishable works by Sukanta, and also his prose
and a good selection of letters.

from the introduction by noted poet Subhash Mukhopadhyay:

   at the time I was studying b.a. at scottish church college.  my book of
   poems, 'padAtik' had already become old hat.  immersed in (leftist)
   politics, we used to congregate for ADDA at a beadon street teashop.  my
   college friend manoj once forced a notebook onto me - reading the poems, i
   couldn't believe they were the work of his 14-year old cousin.  even
   buddhadeb basu was amazed at the quality of the poems. (p.2)

Mukhopadhyay also laments how he had never really praised Sukanta.  He also
notes the difficulty of deciding which of the writings would Sukanta might
have thought too immature for publication?  These were also decisions that
the editors had to take.

Links

Most of his poetry is available at wikisource,
through the herculean typing effort of user "Bellayet", subsequently copied to
many other Bangla websites.

You can hear Soumitra Chatterjee's Abritti of chhARpatra at esnips.

Excerpts

I am appending some of these poems - the ones that are more "mine", i.e. they
perhaps just a tad lesser known.

প্রিয়তমাসু (}priyatamAsu, "to my dear")

             p91,ঘুম নেই ১৯৫৪

সীমান্তে আজ আমি প্রহরী।
অনেক রক্তাক্ত পথ অতিক্রম ক'রে
আজ এখানে এসে থমকে দাড়িয়েছি-
স্বদেশের সীমানায়।

ধূসর তিউনিসিয়া থেকে স্নিগ্ধ ইতালী,
স্নিগ্ধ ইতালী থেকে ছুটে গেছি বিপ্লবী ফ্রান্সে
নক্ষত্রনিয়ন্ত্রিত নিয়তির মতো
দুর্নিবার, অপরাহত রাইফেল হাতে;
- ফ্রান্স থেকে প্রতিবেশী বার্মাতেও।

আজ দেহে আমার সৈনিকের কড়া পোশাক,
হাতে এখনো দুর্জয় রাইফেল,
রক্তে রক্তে তরঙ্গিত জয়ের আর শক্তির দুর্বহ দম্ভ,
আজ এখন সীমান্তের প্রহরী আমি।
আজ নীল আকাশ আমাকে পাঠিয়েছে নিমন্ত্রণ,
স্বদেশের হাওয়া বয়ে এনেছে অনুরোধ,
চোখের সামনে খুলে ধরেছে সবুজ চিঠি :
কিছুতেই বুঝি না কী ক'রে এড়াব তাকে?
কী ক'রে এড়াব এই সৈনিকের কড়া পোশাক?
যুদ্ধ শেষ। মাঠে মাঠে প্রসারিত শান্তি,
চোখে এসে লাগছে তারই শীতল হাওয়া,
প্রতি মুহূর্তে শ্লথ হয়ে আসে হাতের রাইফেল,
গা থেকে খসে পড়তে চায় এই কড়া পোশাক,
রাত্রে চাঁদ ওঠে : আমার চোখে ঘুম নেই।

তোমাকে ভেবেছি কতদিন,
কত শত্রুর পদক্ষেপ শোনার প্রতীক্ষার অবসরে,
কত গোলা ফাটার মুহূর্তে।
কতবার অবাধ্য হয়েছে মন, যুদ্ধজয়ের ফাঁকে ফাঁকে
কতবার হৃদয় জ্বলেছে অনুশোচনার অঙ্গারে
তোমার আর তোমাদের ভাবনায়।
তোমাকে ফেলে এসেছি দারিদ্র্যের মধ্যে
ছুঁড়ে দিয়েছি দুর্ভিক্ষের আগুনে,
ঝড়ে আর বন্যায়, মারী আর মড়কের দুঃসহ আঘাতে
বাব বার বিপন্ন হয়েছে তোমাদের অস্তিত্ব।
আর আমি ছুটে গেছি এক যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আর এক যুদ্ধক্ষেত্রে।
জানি না আজো, আছ কি নেই,
দুর্ভিক্ষে ফাঁকা আর বন্যায় তলিয়ে গেছে কিনা ভিটে
জানি না তাও।

তবু লিখছি তোমাকে আজ : লিখছি আত্মম্ভর আশায়
ঘরে ফেরার সময় এসে গেছে।
জানি, আমার জন্যে কেউ প্রতীক্ষা ক'রে নেই
মালায় আর পতাকায়, প্রদীপে আর মঙ্গলঘটে;
জানি, সম্বর্ধনা রটবে না লোক মুখে,
মিলিত খুসিতে মিলবে না বীরত্বের পুরস্কার।
তবু, একটি হৃদয় নেচে উঠবে আমার আবির্ভাবে
সে তোমার হৃদয়।
যুদ্ধ চাই না আর, যুদ্ধ তো থেমে গেছে;
পদার্পণ করতে চায় না মন ইন্দোনেশিয়ায়
আর সামনে নয়,
এবার পেছনে ফেরার পালা।

পরের জন্যে যুদ্ধ করেছি অনেক,
এবার যুদ্ধ তোমার আর আমার জন্যে।
প্রশ্ন করো যদি এত যুদ্ধ ক'রে পেলাম কী? উত্তর তার-
তিউনিসিয়ায় পেয়েছি জয়,
ইতালীতে জনগণের বন্ধুত্ব,
ফ্রান্সে পেয়েছি মুক্তির মন্ত্র;
আর নিষ্কণ্টক বার্মায় পেলাম ঘরে ফেরার তাগাদা।

আমি যেন সেই বাতিওয়ালা,
সে সন্ধ্যায় রাজপথে-পথে বাতি জ্বালিয়ে ফেরে
অথচ নিজের ঘরে নেই যার বাতি জ্বালার সামর্থ্য,
নিজের ঘরেই জমে থাকে দুঃসহ অন্ধকার।।

মেয়েদের পদবী (meyeder padabI)

     "women's surnames" (প.১৭৫, মিঠে কড়া)

মেয়েদের পদবীতে গোলমাল ভারী,
অনেকের নামে তাই দেখি বাড়াবাড়ি;
'আ'কার অন্ত দিয়ে মহিলা করার
চেষ্টা হাসির। তাই ভূমিকা ছড়ার।
'গুপ্ত' 'গুপ্তা' হয় মেয়েদের নামে,
দেখেছি অনেক চিঠি, পোষ্টকার্ড, খামে।
সে নিয়মে যদি আজ 'ঘোষ' হয় 'ঘোষা',
তা হলে অনেক মেয়ে করবেই গোসা,
'পালিত' 'পালিতা' হলে 'পাল' হলে 'পালা'
নির্ঘাৎ বাড়বেই মেয়েদের জ্বালা;
'মল্লিক' 'মল্লিকা', ' দাস' হলে 'দাসা'
শোনাবে পদবীগুলো অতিশয় খাসা;
'কর' যদি 'করা' হয়, 'ধর' হয় 'ধরা'
মেয়েরা দেখবে এই পৃথিবীটা- "সরা"।
'নাগ' যদি 'নাগা' হয় 'সেন' হয় 'সেনা'
বড়ই কঠিন হবে মেয়েদের চেনা।। wikisource

ভাল খাবার (bhAlo khAbAr)

     "tasty food" (প.১৮০, মিঠে কড়া)

ধনপতি পাল, তিনি জমিদার মস্ত;
সূর্য রাজ্যে তাঁর যায় নাকো অস্ত
তার ওপর ফুলে উঠে কারখানা-ব্যাঙ্কে
আয়তনে হারালেন মোটা কোলা ব্যাঙকে।
সবার "হুজুর" তিনি, সকলের কর্তা,
হাজার সেলাম পান দিনে গড়পড়তা।
সদাই পাহারা দেয় বাইরে সেপাই তাঁর,
কাজ নেই, তাই শুধু 'খাই-খাই' বাই তাঁর।
এটা খান, সেটা খান, সব লাগে বিদ্ঘুটে,
টান মেরে ফেলে দেন একটু খাবার খুঁটে;
খাদ্যে অরুচি তাঁর, সব লাগে তিক্ত,
খাওয়া ফেলে ধমকান শেষে অতিরিক্ত।
দিনরাত চিৎকার : আরো বেশি টাকা চাই,
আরো কিছু তহবিলে জমা হয়ে থাকা চাই।
সব ভয়ে জড়োসড়ো, রোগ বড় প্যাঁচানো,
খাওয়া ফেলে দিনরাত টাকা ব'লে চেঁচানো।
ডাক্তার কবিরাজ ফিরে গেল বাড়িতে;
চিন্তা পাকালো জট নায়েবের দাড়িতে।
নায়েব অনেক ভেবে বলে হুজুরের প্রতি :
কী খাদ্য চাই? কী সে খেতে উত্তম অতি?
নায়েবের অনুরোধে ধনপতি চারিদিক
দেখে নিয়ে বার কয় হাসলেন ফিক-ফিক্;
তারপর বললেন : বলা ভারি শক্ত
সবচেয়ে ভালো খেতে গরীবের রক্ত।।

গান (song)


sometimes it is said that Sukanta was free from the imprint of rabindranAth.
This is somewhat so in his poetry, but in his songs he is completely in the
mesh of tagore. 

এই নিবিড় বাদল দিনে
কে নেবে আমায় চিনে,
		জানিনে তা।
    এই নব ঘন ঘোরে,
    কে ডেকে নেবে মোরে
কে নেবে হৃদয় কিনে,
		উদাসচেতা।

    পবন যে গহন ঘুম আনে,
    তার বাণী দেবে কি কানে,
    	যে আমার চিরদিন
		অভিপ্রেতা!
    শ্যামল রঙ বনে বনে
    উদাস সুর মনে মনে,
অদেখা বাঁধন বিনে
    ফিরে কি আসবে হেথা?

Despite its obvious tagorism, the song demonstrates a mastery of rhythm.
All 19 songs in this collection carry the same spirit.


amitabha mukerjee (mukerjee [at-symbol] gmail) 2012 Nov 28