bandyopadhyAy, debdulAl [দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়]; amiya chaTTopAdhyAy [অমিয় চট্টোপাধ্যায়];
biShay Abritti (বিষয় আবৃত্তি) [bisay Abriti]
de's publishing, kolkata 1985 / 3d edn 1995
topics: | poetry | bengali | anthology
poetry lives on sound. they are meant to be spoken aloud, to be recited. i have felt for a long time that poetry has a special place in cultures that value orality - where family relations remain strong and people meet and talk more than they read and socialize on the internet. perhaps this is why poetry remains so powerful a force in south asia, in the arab lands, in east africa. fortunately, the art of recitation is taken very seriously in bengal - though i am saddened how in west bengal, with most young kids hardly learning bAnglA, the language seems to be increasingly moribund. however, it remains very strong in bAnglAdesh. in both regions however, the popularity and cultural importance of poetry recitations remains much stronger than that of the so-called "performance poetry" in the west. this is why being a poet can be a dangerous profession in some parts of the world. many poets have been imprisoned or attacked by political enemies; humAyun Azad was severely injured and though he seemed to have recovered, he would die rather mysteriously a year later. one sign of this is that English, despite it's vast vocabulary has no word for Abritti - which is the art of reciting poetry, the subject of this book.
in addition to a very informative section on the arts of Abritti, this book devotes about two-thirds of the text to a large set of poems which are meant to be good for Abritti. This part constitutes an excellent resource for modern bAnglA poetry. with one or two poems from every poet, and a short list of other poems by that poet, this books scores very high on my list of exceptional poetry anthologies.
p.164 tArpar_o kathA thAke bR.iShTi haYe gele par তারপরও কথা থাকে; বৃষ্টি হয়ে গেলে পর ভিজে ঠাণ্ডা বাতাসের মাটি-মাখা গন্ধের মতন আবছায়া মেঘ মেঘ কথা; কে জানে তা কথা কিংবা কেঁপে ওঠা রঙিন স্তব্ধতা। সে কথা হবে না বলা তাকে: শুধু প্রাণ ধারণের প্রতিজ্ঞা ও প্রয়াসের ফাঁকে ফাঁকে অবাক হৃদয় আপনার সঙ্গে একা-একা সেই সব কুয়াশার মত কথা কয়। অনেক আশ্বর্য কথা হয়তো বলেছি তার কানে। হৃদয়ের কতটুকু মানে তবু সে কথায় ধরে! তুষারের মতো যায় ঝরে সব কথা কোনো এক উত্তুঙ্গ শিখরে আবেগের, হাত দিয়ে হাত ছুঁই, কথা দিয়ে মন হাতড়াই তবু কারে কতটুকু পাই। সব কথা হেরে গেলে তাই এক দীর্ঘশ্বাস বয়, বুঝি ভুলে কেঁপে ওঠে একবার নির্লিপ্ত সময়। তারপর জীবনের ফাটলে-ফাটলে কুয়াশা জড়ায় কুয়াশার মতো কথা হৃদয়ের দিগন্তে ছড়ায়।
বেয়নেট হ'ক যত ধারালো কাস্তেটা ধার দিও, বন্ধু, শেল আর বোম হোক ভারালো কাস্তেটা শান দিও, বন্ধু! বাঁকানো চাঁদের সাদা ফালিটি তুমি বুঝি খুব ভালবাসতে? চাঁদের শতক আজ নহে তো এ-যুগের চাঁদ হ'লো কাস্তে! লোহা আর ইস্পাতে দুনিয়া যারা কাল করেছিল পূর্ণ, কামানে কামানে ঠোকাঠুকিতে নিজেরাই চূর্ণ-বিচূর্ণ । চূর্ণ এ লৌহের পৃথিবী তোমাদের রক্ত-সমুদ্রে ক্ষয়িত গলিত হয় মাটিতে মাটির -- মাটির যুগ ঊর্ধ্বে! দিগন্তে মৃত্তিকা ঘনায়ে আসে ওই! চেয়ে দ্যাখো বন্ধু! কাস্তেটা রেখেছো কি শানায়ে ? এ-মাটির কাস্তেটা, বন্ধু! Alternate version, possibly a later edit - has three lines changed : যারা কাল করেছিল পূর্ণ, [becomes] কাল যারা করেছিল পূর্ণ, নিজেরাই চূর্ণ-বিচূর্ণ । [becomes] আজ তারা চূর্ণবিচূর্ণ । ক্ষয়িত গলিত হয় মাটিতে [becomes] গ'লে পরিনত হয় মাটিতে, (e.g. see the version in rezina Sufrin's sabAr janya Abrittir kabitA
subhAsh mukhopAdhyAY : mejAj থলির ভেতর হাত ঢেকে শাশুড়ি বিড় বিড় ক'রে মালা জপছেন; বউ গটগট গটগট করে হেটে গেল। আওয়াজটা বেয়াড়া ; রোজকার আটপৌরে নয়। যেন বাড়িতে ফেরিওয়ালা ডেকে শখ করে নতুন কেনা হয়েছে। সুতরাং মালাটা থেমে গেল ; এবং চোখ দুটো বিষ হয়ে ঘাড়টাকে হেলিয়ে দিয়ে যেদিকে বউ যাচ্ছিল সেইদিকে ঢ'লে পড়ল। নিচের চোয়ালটা সামনে ঠেলে দাঁতে দাঁত লাগল। বিলক্ষণ রাগ দেখিয়ে পরমুহূর্তেই শাশুড়ির দাঁত চোখ ঘাড় চোয়াল যে যার জায়গায় ফিরে এল। তারপর সারা বাড়িটাকে আঁচড়ে-আঁচড়ে কলতলায় ঝমর ঝম খনর খন ক্যাঁচ ঘ্যাঁষঘিঁষ ক্যাঁচর ক্যাঁচর শব্দ উঠল। বাসনগুলো কোনদিন তো এত ঝঁঝ দেখায় না - বড় তেল হয়েছে। ঘুরতে ঘুরতে মালাটা দাঁড়িয়ে পড়ল। নোড়া দিয়ে মুখ ভেঙ্গে দিতে হয় - মালাটা একবার ঝাঁকুনি খেয়ে আবার চলতে লাগল। নাকে অস্ফুট শব্দ ক'রে থলির ভেতর পাঁচটা আঙ্গুল হঠাত মালাটার গলা চেপে ধরল। মি্নসের আক্কেলেরও বলিহারি ! কোত্থেকে এক কালো অলক্ষুণে পায়ে খুরঅলা ধিঙ্গি মেয়ে ধ'রে এনে ছেলেটার গলায় ঝুলিয়ে দিয়ে চলে গেল। কেন ? বাংলাদেশে ফরসা মেয়ে ছিলনা ? বাপ অবশ্য দিয়েছিওল থুয়েছিল - হ্যাঁ দিয়েছিল ! গলায় রসুড়ি দিয়ে আদায় করা হয়েছিল না ? এবার মালাটাকে দয়া ক'রে ছেড়ে দেয়া হল। শাশুড়ির মুখ দেখে মনে হচ্ছিল থলির ভেতর হাত ঢুকিয়ে দিয়ে এইসময়ে কী যেন তিনি লুকোচ্ছিলেন। একটা জিনিস - ক'মাস আগে বউমা মরবার জন্যে বিষ খেয়েছিল। ভাশুরপো ডাক্তার না হলে ও-বউ এ-বংশের গায়ে ঠিক চুনকালি মাখাত। কেন ? অসুখ ক'রে মরলে কি হয় ? ঢঙী আর বলেছে কাকে ! হাতে একরাশ ময়লা কপড় নিয়ে কালো বউ গটগট গটগট ক'রে সামনে দিয়ে চলে গেল। নাঃ আর বাড়তে দেওয়া ঠিক নয়। 'বউমা - ' 'বলুন।' উঁহু, গলার স্বরটা ঠিক কাছা-গলায়-দেওয়ার মত নয় বড্ড ন্যাড়া। হঠাত এই দেমাগ এল কোত্থেকে ? বাপের বাড়ির কেউ তো ভাইফোঁটার পর আর এদিক মাড়ায় নি ? বাড়িটা যেন ঝড়ের অপেক্ষায় থমথম করছে। ছোট ছেলে কলেজে ; মেজোটি সামনের বাড়ির রোয়াকে ব'সে রাস্তায় মেয়ে দেখছে ; ফরসা ফরসা মেয়ে - বউদির মত ভুশুন্ডি কালো নয়। বালতি ঠনঠনিয়ে বউ যেন মা-কালীর মত রণরঙ্গিনী বেশে কোমড়ে আঁচল জড়িয়ে চোখে চোখ রেখে শাশুড়ির সামনে দাঁড়ালো। শাশুড়ির কেমন যেন হঠাত গা ছমছম করতে লাগল। তাড়াতাড়ি থলের মধ্যে হাতটা লুকিয়ে ফেলে চোখ নামিয়ে বললেন: আচ্ছা থাক, এখন যাও। বউ মাথা উঁচু ক'রে গটগট গটগট করে চলে গেল ! তারপর একা একা পা ছড়িয়ে ব'সে মোটা চশমায় কাঁথা সেলাই করতে করতে শাশুড়ি এ-ফোঁড় ও-ফোঁড় হয়ে ভাবতে লাগলেন বউ হঠাত কেন বিগড়ে গেল তার একটা অন্তত তদন্ত হওয়া দরকার। তারপর দরজা দেবার পর রাত্রে বড় ছেলের ঘরে আড়ি পেতে এই এই কথা কানে এল - বউ বলছে : 'একটা সুখবর আছে।' পরের কথাগুলো এত আস্তে যে শোনা গেল না। খানিক পরে চকাস চকাস শব্দ, মা হয়ে আর দাঁড়াতে লজ্জা করছিল। কিন্তু তদন্তটা শেষ হওয়া দরকার - বউয়ের গলা ; মা কান খাড়া করলেন। বলছে : 'দেখো, ঠিক আমার মত কালো হবে।' এরপর একটা ঠাস করে শব্দ হওয়া উচিত। ওমা, বউমা বেশ ডগমগ হয়ে বলছে : 'কী নাম দেব, জানো ? আফ্রিকা। কালো মানুষেরা কী কান্ডই না করছে সেখানে।'
p.198 অনেকক্ষণ বৃষ্টি থেমে গেছে বৃষ্টি থেমে গেছে অনেকক্ষণ, ফুটো চাল থেকে আর জল গড়িয়ে পড়বে না খোকাকে শুইয়ে দাও। খোকাকে শুইয়ে দাও তোমার বুকের ওম থেকে নামিয়ে ওই শুকনো জায়গাটায় শুইয়ে দাও, গায়ে কাঁথাটা টেনে দাও অনেকক্ষণ বৃষ্টি থেমে গেছে। মেঘের পাশ দিয়ে কেমন সরু চাঁদ উঠেছে তোমার ভুরুর মতো সরু চাঁদ তোমার চুলের মতো কালো আকাশে, বর্ষার ঘোলা জল মাঠ ছাপিয়ে নদীতে মিশে গেছে কুমোরপাড়ার বাঁশের সাঁকোটা ভেঙে গেছে বোধহয় বোধহয় ভেসে গেছে জলের তোড়ে অভাবের টানে যেমন আমাদের আনন্দ ভেসে যায়। নলবনের ধার দিয়ে পানবরজের পাশ দিয়ে গঞ্জের স্টীমারের আলো- আলো পড়েছে ঘোলা জলে রামধনুর মতো রামধনুর মতো এই রাত্তির বেলা। ধানক্ষেত ভাসিয়ে জল গড়ায় নদীতে স্টীমারের তলায় আমাদের অভাবের মতো ঠিক আমাদের কপালের মতো। আমাদের পেটে তো ভাত নেই পরনে কাপড় নেই খোকার মুখে দুধ তো নেই এক ফোঁটাও,- তবু কেন এই গঞ্জ হাসিতে উছলে ওঠে তবু কেন এই স্টীমার শস্যেতে ভরে ওঠে আমাদের অভাবের নদীর ওপর কেন ওরা সব পাঁজরকে গুঁড়িয়ে যায় ? শোন,- বাইরে এস বাঁকের মুখে পরাণ মাঝি হাঁক দিয়েছে শোন, বাইরে এস, ধান-বোঝাই নৌকো রাতারাতি পেরিয়ে যায় বুঝি খোকাকে শুইয়ে দাও বিন্দার বৌ শাঁখে ফুঁ দিয়েছে। এবার আমরা ধান তুলে দিয়ে মুখ বুজিয়ে মরবো না এবার আমরা প্রাণ তুলে দিয়ে অন্ধকারে কাঁদবো না এবার আমরা তুলসীতলায় মনকে বেঁধে রাখবো না। বাঁকের মুখে কে যাও, কে ? লণ্ঠনটা বাড়িয়ে দাও লণ্ঠনটা বাড়িয়ে দাও ! আমাদের হাঁকে রূপনারাণের স্রোত ফিরে যাক আমাদের সড়কিতে কেউটে আঁধার ফর্সা হয়ে যাক আমাদের হৃৎপিণ্ডের তাল দামামার মতো ঝড়ের চেয়েও তীব্র আমাদের গতি। শাসনের মুগুর মেরে আর কতকাল চুপ করিয়ে রাখবে এস বাইরে এস- আমরা হেরে যাবো না আমরা মরে যাবো না আমরা ভেসে যাবো না নিঃস্বতার সমুদ্রে একটা দ্বীপের মতো আমাদের বিদ্রোহ আমাদের বিদ্রোহ মৃত্যুর বিভীষিকার বিরুদ্ধে- এস বাইরে এস আমার হাত ধর পরাণ মাঝি হাঁক দিয়েছে। --গৌরাঙ্গ ভৌমিক (জ.১৯৩০) : শেষ-ট্রেন ছেড়ে দিলে ২০৮- gourAnga bhoumik bhaumik bhowmik : sheSh Tren chheRe dile শেষ-ট্রেন ছেড়ে দিলে, মনে পড়ে, কী যেন পশ্চাতে রয়ে গেল ! দুবার হুইস্ল বাজালে কত কথা মনে পড়ে যায় বিশেষতঃ শেষ-ট্রেনে যাত্রী হলে হাতে কাঁপে বিপন্ন সময় -- ঘাসের জমিন ভেঙে ট্রেন ছোটে দূরের স্টেশনে । [...] শহর ছেড়েছি আগে, কিছুদিন সমতলে বাস করা গেল । এবার করেছি যাত্রা তিন্কোণা পাহাড়ের দিকে । ওখানে রাত্রিতে চাঁদ সময়ের পা ধরে ঝিমোয় এবং বৃষ্টির মতো আকাশের নীল চুঁইয়ে পড়ে । ক্রমাগত শব্দাবলী দোলে আর দোলে, বুকের ভেতরে কার কথা কয় নক্ষত্রের সাথে । কী যেন আমার কথা ছিল পশ্চাতের স্টেশনের কাছে? শেষ-সেতু পার হলে ভয়ঙ্কর মনে পড়ে যায় ।
shankha ghosh: bAbumashAi ‘সে ছিল একদিন আমাদের যৌবনে কলকাতা! বেঁচে ছিলাম বলে সবার কিনেছিলাম মাথা আর তাছাড়া ভাই আর তাছাড়া ভাই আমরা সবাই জেনেছিলাম হবে নতুন সমাজ, চোখের সামনে বিপ্লবে বিপ্লবে যাবে খোল-নলিচা যাবে খোল-নলিচা পালটে, বিচার করবে নিচু জনে’ -কিন্তু সেদিন খুব কাছে নয় জানেন সেটা মনে মিত্র বাবুমশাই মিত্র বাবুমশাই বিষয়-আশায় বাড়িয়ে যান তাই, মাঝে মধ্যে ভাবেন তাদের নুন আনতে পান্তাই নিত্য ফুরায় যাদের নিত্য ফুরায় যাদের সাধ-আহ্লাদের শেষ তলানিটুকু চিরটা কাল রাখবে তাদের পায়ের তলার কুকুর সেটা হয় না বাবা সেটা হয় না বাবা বলেই থাবা বাড়ান যতেক বাবু কার ভাগে কী কম পড়ে যায় ভাবতে থাকেন ভাবুক অমনি দু-চোখ বেয়ে অমনি দু-চোখ বেয়ে অলপ্পেয়ে ঝরে জলের ধারা বলেন বাবু ‘হা, বিপ্লবের সব মাটি সাহারা’ কুমির কাঁদতে থাকে কুমির কাঁদতে থাকে ‘আয় আমাকে নামা নামা’ ব’লে কিন্তু বাবু আর যাব না চরাতে-জঙ্গলে আমরা ঢের বুঝেছি আমরা ঢের বুঝেছি খেঁদিপেঁচি নামের এসব আদর সামনে গেলেই ভরবে মুখে, প্রাণ ভরে তাই সাধো তুমি সে-বন্ধু না তুমি সে-বন্ধু না, যে-ধূপধূনা জ্বলে হাজার চোখে দেখতে পাবে তাকে, সে কি যেমনতেমন লোকে তাই সব অমাত্য তাই সব অমাত্য পাত্রমিত্র এই বিলাপে খুসি ‘শুড়িখানাই কেবল সত্য, আর তো সবাই ভুষি ছি ছি হায় বেচারা।’ ছি ছি হায় বেচারা? শুনুন যাঁরা মস্ত পরিত্রাতা এ কলকাতার মধ্যে আছে আরেকটা কলকাতা হেঁটে দেখতে শিখুন হেঁটে দেখতে শিখুন ঝরছে কী খুন দিনের রাতের মাথায় আরেকটা কলকাতায় সাহেব আরেকটা কলকাতায় সাহেব বাবুমশায়। [shankha ghosh gives a note on this poem: আশা করি সকলেই বুঝবেন যে, এই ধরনের রচনা পড়াবার বিশেষ একটা সুর আছে। ]
purnendu patri : AmAr eman kichhu duHkha Achhe JAr nAm tilak kAmod আমার এমন কিছু দুঃখ আছে যার নাম তিলক কামোদ এমন কিছু স্মৃতি যা সিন্ধুভৈরবী জয়জয়ন্তীর মতো বহু ক্ষত রয়ে গেছে ভিতর দেয়ালে কিছু কিচু অভিমান ইমনকল্যাণ। সরোদ বাজাতে জানলে বড় ভালো হতো। পুরুষ কিভাবে কাঁদে সেই শুধু জানে। কার্পেটে সাজানো প্রিয় অন্তঃপুরে ঢুকে গেছে জল। মুহুর্মুহু নৌকাডুবি, ভেসে যায় বিরুদ্ধ নোঙর। পৃথিবীর যাবতীয় প্রেমিকের সপ্তডিঙা ডুবেছে যেখানে সেখানে নারীর মতো পদ্ম ফুটে থাকে। জল হাসে, জল তার চুড়িপরা হাতে, নর্তকীর মতো নেচে ঘুরে ঘুরে ঘাগরার ছোবলে সব কিছু কেড়ে নেয়, কেড়ে নিয়ে ফের ভরে দেয় বাসি হয়ে যাওয়া বুকে পদ্মগন্ধ, প্রকাশ্য উদ্যন। এই অপরূপ ধ্বংস, মরচে-পড়া ঘরে দোরে চাঁপা এই চুনকাম দরবারী কানাড়া এরই নাম? সরোদ কাজাতে জানলে বড় ভালো হতো। পুরুষ কীভাবে বাঁচে সেই শুধু জানে। links: http://banglalibrary.evergreenbangla.com/purnendupatri/ : 18 pages of poetry
anya kalarab : kR.iShNa dhar [krishNa dhar] 206 অসম্ভব কোলাহলে গা ডুবিয়ে আমার ভালোবাসা চিবুকে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তোমার পথটা কোন দিকে গেল? তুমি চুপি চুপি আর ডাকো কেন, কাঁটা পায়ে যেতে যেতে রক্ত ঝরে তোমার কাছে কখন গিয়ে পৌঁছুবো? তুমি কখন ডাকলে শুনতে পাইনি আমি আকন্ঠ ডুবে আছি অন্য কলরবে ভালোবাসা তোমার হল না এত দেরী করে তুমি ডাকলে কেন? anya kalarab : kR.iShNa dhar [krishNa dhar] 206 asambhab kolAhale gA DubiYe AmAr bhAlobAsA chibuke hAt diYe dA.NRiYe Achhe tomAr path_TA kon dike gela? tumi chupi chupi Ar DAko kena, kA.NTA pAYe Jete Jete rakta jhare tomAr kAchhe kakhan giYe pau.Nchhubo? tumi kakhan DAk_le shun_te pAi_ni Ami AkanTha Dube Achhi anya kalarabe bhAlobAsA tomAr hala nA eta derI kare tumi DAk_le kena?
keu kathA rAkheni - sunIl ga~NgopAdhyAy 220 কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি ছেলেবেলায় এক বোষ্টুমী তার আগমনী গান হঠাৎ থামিয়ে বলেছিল শুক্লা দ্বাদশীর দিন অন্তরাটুকু শুনিয়ে যাবে । তারপর কত চন্দ্রভূক অমাবস্যা চলে গেলো, কিন্তু সেই বোষ্টুমী আর এলোনা পঁচিশ বছর প্রতিক্ষায় আছি। মামা বাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর খেলা করে! নাদের আলী, আমি আর কত বড় হবো? আমার মাথা এ ঘরের ছাদ ফুঁড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায় তিন প্রহরের বিল দেখাবে? একটাও রয়্যাল গুলি কিনতে পারিনি কখনো লাঠি-লজেন্স দেখিয়ে দেখিয়ে চুষেছে লস্করবাড়ির ছেলেরা ভিখারীর মতন চৌধুরীদের গেটে দাঁড়িয়ে দেখেছি ভিতরে রাস-উৎসব অবিরল রঙের ধারার মধ্যে সুবর্ণ কঙ্কণ পরা ফর্সা রমণীরা কত রকম আমোদে হেসেছে আমার দিকে তারা ফিরেও চায়নি! বাবা আমার কাঁধ ছুঁয়ে বলেছিলেন, দেখিস, একদিন, আমরাও... বাবা এখন অন্ধ, আমাদের দেখা হয়নি কিছুই সেই রয়্যাল গুলি, সেই লাঠি-লজেন্স, সেই রাস-উৎসব আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবেনা! বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল রেখে বরুণা বলেছিল, যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালবাসবে সেদিন আমার বুকেও এ-রকম আতরের গন্ধ হবে! ভালোবাসার জন্য আমি হাতের মুঠেয়ে প্রাণ নিয়েছি দূরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেঁধেছি লাল কাপড় বিশ্বসংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮টা নীল পদ্ম তবু কথা রাখেনি বরুণা, এখন তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ এখনো সে যে-কোনো নারী। কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটল, কেউ কথা রাখে না! source: satkahan.weebly.com Abritti by shimul mustafa:
[tArApada rAy : AmAr Dug_Dugi] p.227 Ami mamatA theke tule enechhilAm parihAs আমি মমতা থেকে তুলে এনেছিলাম পরিহাস আমি বিষাদ থেকে তুলে এনেছিলাম অশ্রু আমি ঘুম থেকে তুলে এনেছিলাম স্বপ্ন আমি স্মৃতি থেকে তুলে এনেছিলাম অভিমান আমি শব্দ থেকে তুলে এনেছিলাম কবিতা তুমি কোনোদিন কিছুই খেয়াল করোনি আমি বিষাদসিন্ধুর তীরে দাঁড়িয়ে ডুগডুগি বাজিয়েছিলাম তুমি সেই বাঁদরনাচের বাজনা শুনতে পাওনি। উত্তরের অনন্ত বাতাসে ঝরা পাতার মতো উড়ে উড়ে পড়েছে আমার পরিহাসময় অশ্রু, আমার স্বপ্নময় অভিমান। তুমি লাল মখমলের চটি পায়ে রেশমেরচাদর জড়িয়ে উজ্জ্বল রোদের মধ্যে উদাসীন হেঁটে গেছো তোমার পায়ের প্রান্তে ঘুরে ঘুরে লুটিয়ে পড়েছে ঝরা পাতার মতো আমার পরিহাস, আমার কবিতা তোমার শ্রুতি ছুঁয়ে ভেসে গেছে আমার ডুগডুগির বোল বছরের পর বছর, দিনের পর দিন গ্রীষ্ম নেই, বর্ষা নেই, শুধু শীত আর শীতের হাওয়া ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন, স্বপ্নের মধ্যে অভিমান শীতল অভিমানে জড়ানো ঠাণ্ডা হাওয়ায় ঝরা পাতা এলোমেলো ছড়িয়ে পড়েছে চারপাশে রোদের উজ্জ্বলতায়। তুমি উদাসীন চলে গেছো কোনোদিন তাকিয়ে দেখোনি, তুমি কোনোদিন শুনলে না আমার ডুগডুগি, আমার বাঁদরনাচের বাজনা।
bidAy bandhugaN, gangane A.Ncher madhye shuYe ei shikhAr rumAl nARA nibhe gele বিদায বন্ধুগণ, গনগনে আঁচের মধ্যে শুয়ে এই শিখার রুমাল নাড়া নিভে গেলে ছাই ঘেঁটে দেখে নেবেন পাপ ছিল কিনা । এখন আমার কোন কষ্ট নেই, কেননা আমি জেনে গিয়েছি দেহ মানে কিছু অনিবার্য পরম্পরা দেহ কখনও প্রদীপ সলতে ঠাকুরঘর তবু তোমরা বিশ্বাস করো নি বার বার বুক চিরে দেখিয়েছি প্রেম, বার বার পেশী অ্যানাটমি শিরাতন্ত্ত দেখাতে মশায় আমি গেঞ্জি খোলার মত খুলেছি চামড়া নিজেই শরীর থেকে টেনে তারপর হার মেনে বিদায় বন্ধুগণ, গনগনে আঁচের মধ্যে শুয়ে এই শিখার রুমাল নাড়ছি নিভে গেলে ছাই ঘেঁটে দেখে নেবেন পাপ ছিল কিনা।
jaY gosvAmI : sa.tkAr gA.NthA 252 AmrA Jedin Aguner nadI theke আমরা যেদিন আগুনের নদী থেকে তুলে আনলাম মা'র ভেসে-যাওয়া দেহ সারা গা জ্বলছে, বোন তোর মনে আছে প্রতিবেশীদের চোখে ছিল সন্দেহ দীর্ঘ চঞ্চু, রোঁয়া-ওঠা ঘাড় তুলে এগিয়ে এসেছে অভিজ্ঞ মোড়লেরা বলেছে, এ সভা বিধান দিচ্ছে শোনো দাহ করবার অধিকারী নয় এরা সেই রাত্রেই পালিয়েছি গ্রাম ছেড়ে কাঁধে মা'র দেহ, উপরে জ্বলছে চাঁদ পথে পড়েছিল বিষাক্ত জলাভূমি পথে পড়েছিল চুন লবণের খাদ আমার আঙুল খসে গেছে, তোর বুক শুকিয়ে গিয়েছে তীব্র চুনের ঝাঁঝে আহার ছিল না, শৌচ ছিল না কারো আমরা ছিলাম শবহনের কাজে যে দেশে এলাম,মরা গাছ চারিদিকে ডাল থেকে ঝোলে মৃতপশুদের ছাল পৃথিবীর শেষ নদীর কিনারে এসে নামিয়েছি আজ জননীর কংকাল বোন তোকে বলি, এ অস্থি পোড়াবো না গাছের কোটরে রেখে যাবো এই হাড় আমরা শিখি নি । পরে যারা আছে তারা তারা শিখবে না এর ঠিক ব্যবহার? সারা গায়ে আজ ছত্রাক আমাদের চোখ নেই, শুধু কোটর জ্বলছে ক্ষোভে আমি ভুলে গেছি পুরুষ ছিলাম কিনা তোর মনে নেই ঋতু থেমে গেছে কবে পূবদিকে সাদা করোটি রঙের আলো পিছনে নামছে সন্ধ্যার মতো ঘোর পৃথিবীর শেষ শ্মশানের মাঝখানে বসে আছি শুধু দুই মৃতদেহ চোর
jaY gosvAmI : nun 252 AmrA to alpe khushi; ki habe duHkha kare? AmAder din chale JAY sAdhAraN bhAt-kApaRe আমরা তো অল্পে খুশি, কী হবে দুঃখ করে ? আমাদের দিন চলে যায় সাধারণ ভাত-কাপড়ে। চলে যায় দিন আমাদের অসুখে ধারদেনাতে রাত্তিরে দু'ভাই মিলে টান দিই গঞ্জিকাতে সবদিন হয়না বাজার, হলে, হয় মাত্রাছাড়া বাড়িতে ফেরার পথে কিনে আনি গোলাপচারা কিন্তু পুঁতব কোথায়? ফুল কি হবেই তাতে? সে অনেক পরের কথা টান দিই গঞ্জিকাতে। আমরা তো এতেই খুশি; বলো আর অধিক কে চায়? হেসে খেলে, কষ্ট করে, আমাদের দিন চলে যায় মাঝে মাঝে চলেও না দিন, বাড়ি ফিরি দুপুররাতে ; খেতে বসে রাগ চড়ে যায় নুন নেই ঠান্ডা ভাতে। রাগ চড়ে মাথায় আমার আমি তার মাথায় চড়ি, বাপব্যাটা দুভায়ে মিলে সারা পাড়া মাথায় করি। AmAder shukno bhAte labaNer bybasthA hok করি তো কার তাতে কী? আমরা তো সামান্য লোক আমাদের শুকনো ভাতে লবণের ব্যবস্থা হোক। --other powerful poems: অমিতাভ দাশগুপ্ত : শেষ ঘোড়া (tumi sei sheSh ghoRA) ২২৩ তুমি সেই শেষ ঘোড়া যার ওপর আমার সর্বস্ব বাজি ধরেছি। গৌরাঙ্গ ভৌমিক : প্রদর্শনী ২০৬ পূর্ব-তোরণ খুলে দিয়েছি বন্ধুগণ, আপনারা যে যার পোশাক পরে এগিয়ে আসুন ধীরে ধীরে, অনেকদিনের প্রয়সের ফল আমার এই প্রদর্শনী। কবিতা সিংহ : ভানুমতীর দুপুর ২১১ ... দুপুরে রদ্দুরে এলে মাটি আকাশ জুড়ে ডালাউসিকে ডুবিয়ে দিলে শুদ্ধসারং সুরে।
anandabazzr kolkAtAr kaRchA জুন ১৩, ২০১১ আকাশবাণীতে প্রথম ঢুকেছিলাম ঘোষক হিসেবে। হয়ে গেলাম সংবাদপাঠক আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৩৪-এর ২৫ জুন শান্তিপুরে জন্ম। বাবা নন্দদুলাল, মা নীহারবালা। সাত বছর বয়সে চলে আসেন কলকাতায়। ১৯৪৮-এ প্রবেশিকা উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন সুরেন্দ্রনাথ কলেজে। তত দিনে সাহিত্য-সংস্কৃতির নেশা ধরেছে, সময় পেলেই মন দিয়ে শুনতেন জনপ্রিয় শিল্পীদের অনুষ্ঠান বা বাচনভঙ্গি। আবৃত্তি চর্চার সূত্রপাত সেই থেকে। সঙ্গে অনুপ্রেরণা কিশোর বয়সে শোনা বাবার কণ্ঠে সংস্কৃত স্তোত্রের সুরেলা আবৃত্তি এবং মেজো জ্যাঠামশাইয়ের কথকতা। এ দিকে রোজগারের নানা চেষ্টায় গৃহশিক্ষকতা থেকে চায়ের দোকান, টাইপিস্ট, স্টোরকিপার কিছুই বাদ যায়নি। কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন ১৯৫৮-য়। বলরাম দে স্ট্রিটের দত্তবাড়িতে সভা হত ভারতীয় শিল্পীসংঘের, এখানেই একদিন অনিল ঠাকুর অল ইন্ডিয়া রেডিয়োর বিজ্ঞাপনের কথা জানালেন। অতঃপর পরীক্ষা দিয়ে নির্বাচিত হন ঘোষক পদে। ১৯৬৪-তে তিনি দিল্লিতে বাংলা বিভাগে সংবাদ পাঠক নির্বাচিত হন। তার পর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের শেষদিকে ফিরে আসেন কলকাতা বেতার কেন্দ্রে। পরেরটুকু ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলিতে দেবদুলালের হৃদয়স্পর্শী পাঠ অনেক দিন মনে রাখবে বাংলা। ওঁর আবৃত্তি প্রকাশ পেয়েছে রেকর্ড-ক্যাসেটে। সম্পাদনা করেছেন বিষয়: আবৃত্তি, বাংলাদেশের গল্প, একাত্তরের যুদ্ধে ভারত পাকিস্তান ও বাংলাদেশ, বইগুলি, যৌথ বা একক ভাবে। ভাষ্যপাঠ করেছেন বহু তথ্যচিত্র এবং ‘মহানগর’ ও ‘কলকাতা ৭১’-এ। পেয়েছেন নানা পুরস্কার, ১৯৭২-এ পদ্মশ্রী। স্ত্রী কত্থক নৃত্যশিল্পী রুবির সঙ্গে শুরু করেছিলেন ‘রসকলি’ নামে একটি আবৃত্তি ও নৃত্যচর্চা কেন্দ্র। ২ জুন রাতে স্তব্ধ হল সেই দেবকণ্ঠের জাদু। ১৬ জুন ছ’টায় তপন থিয়েটারে ‘শিল্পী সংসদ’-এর উদ্যোগে স্মরণ সভা। debdulal biography link: * http://www.somewhereinblog.net/blog/scmyblog7/29390813 * BBC bangla obit